নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা, ক্রয় ভাউচারে গড়মিল পাওয়া, ইচ্ছেমাফিক দামে মুরগী বিক্রি এবং মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন না করায় ১১টি মুরগি দোকানকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গত তিন দিন নগরীতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। সম্প্রতি কুমিল্লার বাজারে বয়লার, লেয়ার, সোনালী ও দেশি মুরগির মাত্রাতিরিক্ত দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায় মুরগির দাম।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা থেকে জানানো হয়,সোমবার কুমিল্লা নগরীর রানীর বাজার ও টমছম ব্রিজ বাজার এলাকার মুরগীসহ নিত্যপণ্যের বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় পরিমাপক যন্ত্রে কারচূপি করায় নূর ব্রয়লার হাউজকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ও পরিমাপক যন্ত্রটি জব্দ করা হয়।
দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ইয়াছিনের মাংসের দোকানকে ১ হাজার টাকা, একই অভিযোগে কুদ্দুছের মাংসের দোকানকে ১ হাজার টাকা এবং বিসমিল্লাহ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সোমবার মোট ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে গত তিন দিনের অভিযানে নগরীর ১১টি মুরগীর দোকানকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অভিযানে মাছের বাজারে ওজন পরিমাপক যন্ত্র যাচাই করা হয় এবং মাছে অপদ্রব্য মেশানো হচ্ছে কিনা দেখা হয়। মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা আছে কিনা যাচাই করা হয় এবং খাসি বলে ছাগীর মাংস দেওয়া হচ্ছে কিনা তদারকি করা হয়।
তদারকি অভিযানের সময় আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে ন্যায্যমূল্যে মাংসসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সচেতন করা হয়। সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর একে আজাদ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page